ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার 5 তালিকা

ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে সহজে ওজন বাড়ানো যায়। কি খেলে ওজন বাড়ে। যদি আপনি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান এবং খুব সহজ উপায়ে।

ওজন-বাড়ানোর-জন্য-খাবার-তালিকা তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্যাভ্যাস কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। আপনি জানতে পারবেন কোন খাদ্যগুলি দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকারী এবং কিভাবে সেগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত হতে পারে সে সম্পর্কে। ওজন বাড়াতে হলে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা

ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা

ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা স্বাস্থ্যকর উপায় ওজন বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকের খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি এই খাবারগুলিতে ক্যালরি স্বাস্থ্যকর চর্বি প্রোটিন ভিটামিন আমিষ খনিজ সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা যায় এবং পেশী বৃদ্ধি করা যায় শারীরিক বিকাশ লাভ করা যায়। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের মানসম্পন্ন পুষ্টি এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে তাদের ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। ওজন বাড়াতে চাইলে শুধু শুধু অযথা তেল চর্বি খাওয়া উচিত নয় বরং স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানো উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন বাড়ানোর জন্য খাদ্য তালিকা আলোচনা করা হলোঃ

  • সকালের নাস্তাঃ সকালের নাস্তায় অবশ্যই দুধ, ডিম, কলা বা অন্যান্য যে কোন ফল থাকতে হবে। এর সাথে আপনি খিচুড়ি, পরোটা সামান্য ঘি দিয়ে ভেজে খেতে পারেন এতে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি হবে।
  • হালকা নাস্তাঃ সকাল ১০ টা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যে হালকা নাস্তা করার চেষ্টা করুন। যাতে করে আপনার শরীরের পুষ্টির অপূর্ণতা না থাকে। তাই সকালে বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা, আখরোট, শুকনো ফল, কিসমিস, খেজুর বা ফলের জুস খেতে পারেন।
  • দুপুরের খাবারঃ দুপুরের খাবার জন্য একটু ভারী রকমের খাবার খেতে পারেন। যেমন ভাত, পোলাও বা রুটি। তার সাথে মাছ, মুরগি বা গরুর মাংস, ডাল, সবজি, সালাদ, দই ইত্যাদি।
  • বিকেলের নাস্তাঃ বিকেলের নাস্তা তে আপনি কিছু শুকনো খাবার বা সামান্য ফল খেতে পারেন। যেমন আলুর চপ, স্যান্ডউইচ, পাউরুটি, এক গ্লাস দুধ, সামান্য কিছু ফল যেমন আপেল, মালটা ইত্যাদি।
  • রাতের খাবারঃ রাতের খাবারে আপনাকে অবশ্যই ঘুমানোর দু'ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে হবে যাতে করে আপনার শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। রাতে ভাত, রুটি, ডিম, মাছ, মাংস সবজি, সালাত, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ বা দুই সাথে খেজুর বা কলা খান এতে করে আপনার প্রোটিনের ঘাটতি কমে যাবে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিদিন তিন বেলা খাবার খান এবং দুই থেকে তিন বেলা নাস্তা খাবেন প্রতিদিন খাবারের প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখবেন। যেমনঃ মাছ-মাংস, ডাল, দুধ ইত্যাদি এবং কার্বোহাইড্রেট খাবারের সাথে রাখতে হবে ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদি এবং কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেতে পারেন। যেমন বাদাম ঘি, অলিভ অয়েল ইত্যাদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন হালকা এক্সারসাইজ করুন খুব বেশি জাঙ্ক ফুড অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার থেকে এড়িয়ে চলুন।

ওজন বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য উপকারিতা 

আমরা সাধারণত ওজন কমানোর কথাই বেশি চিন্তা করে থাকি কিন্তু যাদের ওজন কম তাদের জন্য সুষ্ঠুভাবে ওজন বৃদ্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে ওজন বাড়ালে শরীরের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। ওজন বানানো অনেকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে বিশেষ করে যারা রোগা পাতলা গঠন বা দ্রুত মেটাবলিজমের শিকার যদি আপনি দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে খাবারের পরিবর্তন আনতে হবে। যদিও খাবারগুলো খাওয়া প্রাথমিক লক্ষ্য হলো ওজন বৃদ্ধি তবুও স্বাস্থ্যকর ওজন অর্জনের সাথে সম্পর্কিত কিছু উপকারিতা রয়েছে। ওজন বৃদ্ধির স্বাস্থ্য উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
  • ইমিউনিটি সিস্টেমঃ ওজন কম থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন রকমের রোগ দ্রুত ধরে সঠিক ওজন হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং সহজে অসুস্থ হওয়া থেকে বিরত থাকে এজন্য ওজন বৃদ্ধির স্বাস্থ্যকর উপকারিতা অনেক বেশি।
  • হরমনের ভারসাম্যঃ অতিরিক্ত কম ওজন অনেক সময় হরমোনের সমস্যা দেখা দিতে পারে বিশেষ করে মহিলাদের মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায় এবং পুরুষদের টেস্টোস্টেরন কমে যায়। 
  • গর্ভধারণ ও প্রজনন সমস্যাঃ মহিলাদের ক্ষেত্রে কম ওজন থাকলে গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দিতে পারে স্বাস্থ্যকর ওজন থাকলে গর্ভধারণ সহজ হয় এবং মা বাচ্চা ঝুঁকি কমে থাকে।
  • চুল ও ত্বকের জন্যঃ সঠিক পুষ্টি নি ওজন বাড়াতে পারলে চুল এবং ত্বক উজ্জ্বল হয় চুলের ঘনত্ব বাড়ে এবং মজবুত হয় ভিটামিন ফ্যাটের ঘাটতি থেকে হওয়া চুল পড়া বা শুষ্ক ত্বক দূর হয়ে যায়।

যা খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে 

ওজন বাড়াতে হলে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত এবং পুষ্টিকর সুষম খাবার যেমন ফলমূল বাদাম ও বীজ দুধ পনির ডিম মাছ মাংস রান্না ইত্যাদি খান খাদ্য তালিকা যোগ করতে পারেন স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন কি মাখন বাদাম তেল ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবার গুলো খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে তবে মনে রাখতে হবে দ্রুত নয় বরং স্বাস্থ্যকর ভাবে ধীরে ধীরে ওজন বাড়ানোটাই স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। তবে কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

  • দুগ্ধ জাত খাবারঃ দই, পনির, দুধ ইত্যাদি খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব। এতে করে আপনার স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিযুক্ত খাবার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ ডিম সেদ্ধ করে বা ভেজে খেতে পারেন। মাছ, মাংস, ডাল, মুগ ডালের স্যুপ, ছোলা ইত্যাদি খেলে প্রোটিনের ঘাটতি কমে যায় এতে করে দ্রুত ওজন বাড়ে।
  • স্বাস্থ্যকর ফ্যাটঃ বাদাম, চিনা বাদাম, মাখন, অলিভ অয়েল, নারকেলের তেল, অ্যাডভোকেট ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • কিছু ফলঃ কলা আম খেজুর আংগো কিসমিস শুকনো জাতীয় ফল খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। 
  • পানীয়ঃ মিল্কশেক, কলার জুস, প্রোটিন শেখ, ফলের জুস, ইত্যাদি পানীয় খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • কার্বোহাইড্রেট খাবারঃ ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, রুটি, পাউরুটি, আলু, মিষ্টি আলু, সুজি ইত্যাদি খেলে ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যায়াম

ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু খাবারের দিকে নজর দিলেই হবে না দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য কিছু কার্যকর ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে। প্রোটিন এবং ক্যালরি বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার শরীরে বেশি গঠনে ব্যায়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে পারবেন। বেশি খেলে ওজন বাড়ে না বরং অনেক সময় শরীরে চর্বি জমে তা অসুস্থ করে তোলে। সঠিক ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ফিট থাকে শক্তি পারে এবং ওজন ও স্বাস্থ্যকর ভাবে বৃদ্ধি পায়।
  • ওজন উত্তোলনঃ ওজন উত্তোলনের মাধ্যমে পেশির শক্তি ও ভলিয়ম বাড়তে সাহায্য করে আপনার বুকের বেশি এবং হাতে শক্তি বৃদ্ধি করে এতে করে আপনার শরীরের পেশী গঠন ঠিক থাকে এবং ওজন স্বাস্থ্যকর ভাবে বৃদ্ধি পায়।
  • শারীরিক মৌলিক ব্যায়ামঃ পোশাকের উপর শরীরের বেশি শক্তি শালী করে এগুলো আপনার শরীরের মৌলিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত করলে শরীরের মোট পেশির ভলিউম বাড়তে সাহায্য করে ফলে আপনার ওজন ও বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

ওজন বাড়াতে যেসব ভিটামিন খাওয়া যাবে

শরীরকে ফিট রাখতে চাইলে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে ব্যায়ামের পাশাপাশি সঠিক পন্থায়ী স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে কিন্তু অনেকেরই তা হয়ে ওঠে না। কেউ ফ্যাট যুক্ত খাবার খেয়ে নিও মেয়ের চেয়ে অনেক বেশি ওজন করে ফেলে আবার অনেকে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না করার ফলে অনেক ওজন কমে যায় তবে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু কোন খাবারে নির্দিষ্ট ভিটামিন নেই যা সরাসরি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারে।
ওজন-বাড়ানোর-জন্য-খাবার-তালিকা

এই ভিটামিন গুলো আপনার পেশির গঠনের সহায়তা করে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। সঠিক পুষ্টি গঠন এবং শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আমাদের শরীর সঠিক গোষ্ঠীর মাধ্যমে শক্তির সংগ্রহ করে ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যপ্রক্রিয়া সাহায্য করে যেমন ক্ষুধা বাড়ায়, মেটাবলিজম বাড়ায়। ওজন বৃদ্ধিতে নিজে কিছু ভিটামিন নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
  • ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ আপনার শরীরে টিস্যু বা কোষ গঠনে সাহায্য করে থাকে এতে আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত করে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন বি কমপ্লেক্সঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ওজন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটি আপনার খাবার থেকে এনার্জি শোষণ করতে সাহায্য করে এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করে।
  • ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি আপনার শরীরে সরাসরি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে না এ থেকে পুষ্টির শোষণের সাহায্য করে এবং ইউনিটির সিস্টেমকে শক্তিশালী করে শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের হার বেশি গঠনে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

ওজন বাড়াতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

ওজন বাড়ানোর জন্য হোমিওপ্যাথি আজকাল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এটি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়ায় স্বাভাবিকভাবে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে স্বাভাবিকভাবে আপনার ক্ষুধা বাড়বে। এটি আপনাকে ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নত করবে। স্বাস্থ্যকর এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য ওজন বৃদ্ধির সময়কালের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। হোমিওপ্যাথি ওজন বাড়ানোর সাহায্য করতে পারে যা একজন ব্যক্তির ওজন কমবেশি হয়ে থাকে।

তাই ওজন বাড়ানোর জন্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ এগুলির উপর কাজ করে এবং একজন ব্যক্তি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবহেলিত অবস্থার উন্নতি করে। স্বাভাবিক ওজন কম একজন ব্যক্তিকে কম ওজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং কম ওজনের কারণে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে যদিও কিছু লোক জেনেটিক্যালি কম ওজনের। আবার অনেকের বিভিন্ন চিকিৎসার কারণে কমবচন হয়ে থাকে। হোমিওপ্যাথি ঔষধে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় এ ওষুধটি ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে এবং ছোট বড় সকলেই এই ওষুধটি সেবন করতে পারবে।

ওজন বাড়াতে প্রাকৃতিক ঔষধের গুনাগুন

ওজন বাড়াতে প্রাকৃতিক বা ভেষজ ঔষধি গুনাগুন অনেক আসলে প্রাকৃতিক অনেক ভেষজ ও খাবার আছে যেগুলো ক্ষুধা বাড়ায় হজম ভালো করে আর শরীরকে বেশি গুনে সাহায্য করে থাকে তবে এগুলো যেমন স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বাড়াতে সহায়ক হয় তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ওজন বাড়াতে কিছু প্রাথমিক প্রাকৃতিক নিচে দেওয়া হলঃ
  • আশ্বগন্ধাঃ এই ভেষজ প্রাকৃতিকভাবে ক্ষুধা বাড়ায় হজম শক্তি ভালো করে শরীরের শক্তি বাড়ে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে মানুষের চাপ কমিয়ে ঘুম ভালো আনে যার ফলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • শতাবরীঃ শতাবরী শরীরে ক্ষুধাও হজম বারায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বিশেষ করি মহিলাদের হরমোনের সমস্যা থাকে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • মেথি দানাঃ মেথি থানার শরীরের ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে রক্তের শর্করাস ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।
প্রাকৃতিক ভেষজ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হরমোনের প্রভাব ফেলতে পারে বা অন্য ওষুধের সাথে মিশে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তাই সাধীনতা অবলম্বন করে প্রাকৃতিক ঔষধ খেতে হবে।

ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারিতা

অনেকেই মনে করেন পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে বা ব্যায়াম করলে শুধু ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব কিন্তু আসলে তা নয় শুধু বেশি খেলে বা ব্যায়াম করলে ওজন বাড়বে এমন কোন কথা নেই কিন্তু আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ওজন বাড়ানোর জন্য সমান জরুরী ঘুমের সময় শারীরিক বিশ্রাম পায়ে হরমোন ব্যালেন্স হয় আর খাবার খাওয়া থেকে পুষ্টির শরীরে জমা হয় এতে করে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। ঘুমের সময় শরীরে হরমোন নিঃসৃত হয় যা বেশি গঠন ও টিস্যু পূর্ণ গঠনের সাহায্য করে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কোটিসল বেড়ে যায়।
ওজন-বাড়ানোর-জন্য-খাবার-তালিকা
এতে ক্ষুধা কম ওজন বাড়তে বাধা দেয়। ঘুম ঠিকমতো হলে শরীরের ক্ষুধা বাড়ানোর হরমোন লেপটিন এর ভারসাম্য বজায় থাকে এতে ক্ষুধা স্বাভাবিক থাকে বেশি খাওয়া সম্ভব হয়। ব্যায়াম করার পর পর্যাপ্ত ঘুম দিলে মাংস বেশি দূর তৈরি খাবারই হয় খাওয়ার প্রোটিনের শরীরের বেশি হিসেবে জমা হয়। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরে এনার্জি লেভেল ঠিক রাখে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এর জন্য ঘুমের বিকল্প বলে কিছু নাই ওজন বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে তাই ব্যায়াম ও খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।

ওজন বাড়ানোর ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

অনেক সময় মানুষ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য বাজারের সাধারণ কিছু ঔষধ ব্যবহার করে থাকে কিন্তু তারা নিজেরাও জানে না যে এসব ওষুধের অনেক কষ্ট প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে বিশেষ করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে এই ওষুধ দিয়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এজন্য প্রাকৃতিক খাবার দুধ ডিম বাদাম ফল ভাত ইত্যাদি কি ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করাটা আমাদের প্রয়োজন ব্যায়ামও পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমেও ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব। চলুন নিচে জেনে নেওয়া যাক ওজন বাড়ানোর ঔষধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে।
  • হজমের সমস্যাঃ ওজন বাড়ানোর ঔষধের প্রথমত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো হজমের সমস্যা বমি ভাব ডায়রিয়া পেটে ব্যথা গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • লিভার বা কিডনির ক্ষতিঃ অনেক ওষুধের কেমিক্যাল থাকে যা লিভার কিডনির তে চাপ ফেলে দীর্ঘদিন খেলে লিভার বা কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • এলার্জিঃ দীর্ঘদিন এই ওষুধ খেলে চুলকানির, ফোলা ভাব বা ব্রণ দেখা দিতে পারে।

মন্তব্যঃ ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা

ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকর একটি সুষম খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রোটিন ক্যালরিন স্বাস্থ্যকর পানীয় ইত্যাদি। ওজন বাড়ানোর জন্য খাবার তালিকা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে আপনি যদি নিয়মমাফিক খাবারের তালিকা সঠিকভাবে পালন করতে পারেন তাহলেই দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করেছি ওজন বৃদ্ধি করার খাবারের তালিকা কি খেলে ওজন বাড়ে ওজন বাড়াতে প্রাকৃতিক ওষুধের গুনাগুন ইত্যাদি সম্পর্কে এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের পেইজের সঙ্গেই থাকুন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্গানিক সদাই২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url