প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো

প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে প্রতিদিন সকালে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মানসিক চাপ কমে, রক্ত চলাচল বাড়ে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন সকালে হাঁটার উপকার সম্পর্কে।

প্রতিদিন-সকালে-হাঁটার-স্বাস্থ্য-উপকারিতা
আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো সকালে হাটার স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং সকালে খালি পেটে হাঁটলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতার অন্যতম উপায় সকলের মুক্ত হাওয়ায় হাঁটতে বের হওয়া আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রতিদিন সকালে হাঁটলে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে হাটার বিকল্প নিয়ে সহজ ও কম কষ্টকর উপায় ওজন কমাতে হাঁটার হচ্ছে সর্বোত্তম ব্যায়াম। প্রতিদিন সকালে হাটা একটি কার্যকর স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নিয়মিত সকালবেলা হাটার অনেক উপকারিতা আছে। চলুন জেনে যাওয়া যাক সকালে হাটার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্পর্কে। 
  • শারীরিকভাবে উপকারিতাঃ হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং রক্ত চলাচল উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ও হার্ট অ্যাটাক কমাতে সকালে হাটার থেকে বিকল্প কিছু নেই। এছাড়া ও সকালে হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাহায্য করে বেশি মজবুত হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। 
  • মানসিকভাবে উপকারিতাঃ প্রতিদিন সকালে হাঁটার ফলে সকালে নির্মল বাতাসে সূর্যের আলো মানসিক প্রশান্তি আনে শরীর ক্লান্ত হয় এবং রাতে আরামের ঘুম আসে। এছাড়াও প্রতিদিন হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ পাড়ায় ফলে কাজে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
  • স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ সকালে বিশুদ্ধ বাতাসে হাঁটলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়ে। ফুসফুস পরিষ্কার রাখে। খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। নিয়মিত হাঁটার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • আবেগিক উপকারিতাঃ প্রতিদিন সকালে হাঁটলে ডিপ্রেশন কমে যায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে। মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা কমায়। সকালে বাতাসে হাঁটলে মস্তিষ্ক রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে মাথাব্যথা প্রতিরোধ করে থাকে। 

সকালে নাকি বিকেলে হাঁটা ভালো

স্বাস্থ্যের উন্নত করার জন্য হাটা হলো অন্যতম ব্যায়াম দিনে যেকোনো সময় হাঁটা যায় তবে সকালবেলা হাঁটার জন্য ভালো সময়। আসলে দুঃসময় হাঁটার উপকারিতা আছে। তবে শরীর এবং রোগ ভিত্তিক দুই সময়ের পার্থক্য রয়েছে। এছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময় নয় নিয়মিত হাটার অভ্যাস করা উচিত যেটা আমাদের রুটিনের মানানসই সেটাই বেছে নিন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে নাকি বিকেলে হাঁটা ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হলঃ

  • সকালে হাঁটার উপকারিতাঃ সকালে দূষণ কম থাকে ফলে অক্সিজেন বেশি পাওয়া যায় বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়ার ফলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। এছাড়াও সকালে হাঁটার ফলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের প্রথম আলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই। সকালে হাঁটলে মনে সারাদিন ফ্রেশ থাকা যায় এবং কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়াও দিনে শুরুতে হারলে মানসিক প্রশান্তিও পাওয়া যায় মন ভালো থাকে কাজে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। 
  • বিকেলে হাটার উপকারিতাঃ বিকেলের শরীর আগে থেকে গরম থাকে। ফলে হাঁটার সময় ইনজুরির হওয়ার ভয় কম থাকে। বিকেলে হাঁটা উপকারিতা হল সারাদিন খাবার খাওয়ার পর শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়, হাঁটা সহজ লাগে। এছাড়াও দিনের কাজ শেষে বিকেলে হাঁটা টেনশন ও ক্লান্তি দূর করে। অনেক সময় বিকেলে পরিবারের সবার সাথে হাঁটা যায় সময় ব্যয় করা যায়। তাছাড়া সন্ধ্যার আগে হাঁটা খাওয়ার পর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে থাকে, তাই বিকেলে ভালো হাঁটাও ভালো।
এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে তাহলে কখন হাঁটা ভালো ওজন কমানো ফ্রেশ থাকা ভিটামিন ডি পাওয়া বা ডিসিপ্লিন তৈরি করতে চাইলে অবশ্যই সকালে হাঁটা ভালো। এতে করে আপনার মন শরীর দুটোই ভালো থাকে। এছাড়ায় স্টক কমাতে, মাংসপেশির গরম রেখে হাঁটা বা কাজের পর ক্লান্তি দূর করতে চাইলে বিকেলে হাঁটা ভালো। এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে, টেনশন ক্লান্তি দূর হবে, শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে স্টকে ঝুঁকি কমাবে। 

প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে কি হয়

মানুষের সুস্থ সুন্দর জীবনে যেন নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য তবে ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন ব্যায়াম করা সম্ভব না সে ক্ষেত্রে সহজ উপায় বা বিনোদনমূলক ব্যায়াম হলো হাটা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটা শরীরও মনের জন্য ঔষধের মতো কাজ করে থাকে এটি শুধু শরীর সুস্থ তাই নয় মানসিক শান্তি ও দীর্ঘায়ু পেতেও সাহায্য করে থাকে আজকাল ব্যস্ত জীবনে মানুষের মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন অনেকটাই সাধারণ সমস্যা। নিয়মিত হাঁটলে মানসিক শান্তি এবং দুশ্চিন্তা তোমায় ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা হলঃ

  • ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সহজ উপায় হচ্ছে নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটা নিয়মিত দ্রুত গতিতে হাঁটলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি বার করে মেটাবলিজম বাড়ে এবং ধীরে ধীরে ওজন কমাতে থাকে এতে করে পেট উড়ুর মেদ কমাতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণঃ নিয়মিত হাটার মাধ্যমে শরীরের ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বৃদ্ধি পায়। এতে করে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত হাঁটার ফলে রক্তে শর্করা দ্রুত কমাতে সাহায্য করে এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়ঃ প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে মস্তিষ্কের অক্সিজেন ও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় যা স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা

খালি পেটে হাতের মূল উপকারিতা হচ্ছে বেশি চর্বি কমাতে পারে সকালবেলা প্রথমে খালি পেটে হাত দিয়ে বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত হয় খালি পেটে হাঁটলে আপনি অনেক রকম উপকার পেয়ে থাকবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত খালি পেটে হাঁটলে মাথা ঘোরা দুর্বলতা বমি ভাব হতে পারে। আপনি চাইলে এক গ্লাস পানি বা হালকা কিছু খেয়ে হাঁটতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস বা লো প্রেসার আছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাঁটবেন। খালি পেটে হাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • এনার্জি লেভেল উন্নত করেঃ নিয়মিত খালি পেটে হাঁটলে শরীরের এনার্জি লেভেল উন্নত হয় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে শরীরের মনকে সতেজে রাখে হাঁটার প্রথম উপায় যার সকালে ক্লান্তি অবসান দূর করে। 
  • ওজন কমায়ঃ গবেষণায় দেখা গেছে দ্রুত ব্যায়াম ওজন ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে সকালে খালি পেটে হাঁটার ফলে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে খালি পেটে হাঁটালে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
  • পরিপাকতন্ত্র সচল করেঃ রাতে বিশ্রামের পর সকালে খালি পেটে হাঁটলে শরীরের কোষগুলো সচল থাকে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এর ফলে শরীরকে কার্যকর ভাবে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। 

খাওয়ার পর হাঁটার উপকারিতা

খাওয়ার পর হাঁটার সুবিধা অপরিহার্য কারণ এটি কেবল হজম সহায়তা করে আর রক্তের শর্করা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে খাওয়ার পর হাঁটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা তবে এটি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয় বরং ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর হাঁটা উচিত। প্রতিবার খাওয়ার পর হাত তুলে ফোলা ভাব কমে যায়। খাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর হালকা হাঁটলে হজম ভালো হয়। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে শরীর হালকা রাখে ঘুম ভালো হয়। খাওয়ার পর হাঁটলে লো ব্লাড প্রেসার, শ্বাস-প্রশ্বাস উন্নত করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন-সকালে-হাঁটার-স্বাস্থ্য-উপকারিতা
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে হাঁটা হতে পারে দারুন কার্যকরী কারণ হাঁটার ফলে হজম ভালো হয়। এছাড়াও ভারী খাবার পর যে আলোস্য আসে হাঁটলে তা কমে যায় রাতে খাওয়ার পর অল্প হাঁটলে হজম ভালো হয় ফলে আরাম দেয় ঘুম হয় এছাড়াও হাঁটলে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এতে মন ভালো রাখে। আমাদের খাওয়ার পর পাঁচ থেকে দশ মিনিট নিয়মিত হাটা উচিত যাতে হজমের সমস্যা না হয় ভারী খাবারের পর অল্প হাটুন যাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা আছে তারা খাওয়ার পর হাঁটলে বিশেষ উপকার করা যায়। 

সকালে হাঁটার সঠিক নিয়ম

সকালে হাঁটার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রথমত নিজেকে প্রস্তুত করা আরামদায়কৃত পড়া ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটুন। হাঁটা শুরু আগে হালকা গরম পানি পান করলে শরীরের ডিটক্স হয়। খালি পেটে হাঁটলে ফ্যাট বার্ন করে। তবে হালকা খাবার খেয়ে হাঁটলে শরীরে দুর্বলতা কম লাগে। হাঁটার আগে দুই থেকে পাঁচ মিনিট হাত পা নাড়াচাড়া করুন এতে করে ইনজুরির ঝুঁকি কমে। শুরুতে ধীরে ধীরে এবং মাঝারি গতিতে হাঁটা শুরু করুন। পিঠ সোজা, মাথা উঁচু, কাঁধ ঢিলা, আর হাত স্বাভাবিকভাবে নাড়াতে থাকুন। 

শ্বাস প্রশ্বাসের মনোযোগ দিন গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। হাঁটার সময় চারপাশে মনোযোগ রাখুন। হাঁটা শেষে ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে কয়েক মিনিট দাড়ান। শরীর ঘেমে গেলে লেবু পানি পান করুন। হাঁটার পরপরই ভারী খাবার না খেয়ে কিছুক্ষণের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর নাস্তা করুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে নিন। এতে করে আপনার শরীরের সুস্থ থাকবে। 

প্রতিদিন হাঁটলে কি ত্বক ভালো হয়

প্রতিদিন হাঁটলে শুধু শরীর নয় ত্বকের অনেক উপকার হয় হাঁটার সময় শরীরের ভেতরে যে পরিবর্তন ঘটে সেগুলো ত্বকে সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। হাঁটার সময় হৃদপিন্ডের দুটো কাজ করে যার ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বকের অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান হয়। প্রতিদিন হাঁটার ফলে ঘাম বের হয় এতে করে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় টক্সিন কমলে ব্রণ ও ত্বকের ফুসকুড়ি কমে যায়। হাঁটার সময় এনডোর ফিন হরমোন নিঃসৃত হয়ে যায়। 

স্টকে ঝুঁকি কমায় এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় কমই স্টক মানে কম ড্রাগ সার্কেল এতে করে ব্রণ কিন্ডার সার্কেল কম থাকে এবং ত্বক অনেক ফ্রেশ লাগে। প্রতিদিন হাঁটলে বা সকালে হাঁটলে সূর্যের আলো পাওয়া যায়। এ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন ডি ত্বককের কোষ নতুন করতে সাহায্য করে। ত্বককে স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন হাঁটলে শরীরের ক্লান্তি ভাব হয়। ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়। পর্যাপ্ত ঘুম হলে ত্বক ফ্রেশ এবং উজ্জ্বল লাগে এবং টানটান দেখায়। 

সকালে খালি পায়ে ঘাসে হাঁটার উপকারিতা

সকালে খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকার হয়ে থাকে। শরীরের ব্যথা কমে, ঘুমের মান উন্নত হয়, মানসিক চাপ কমে, পায়ের পেশী বা হার শক্তিশালী হয়, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রাকৃতিক উপায় শক্তি সঞ্চালন হয়ে থাকে। সকালে খালি পায়ে হাঁটলে চোখের জন্য অনেক উপকারী খাসি সবুজ রং চোখে এস নাই ও শান্ত করে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। খালি পায়ে ঘাসে হাঁটলে পায়ে একুপাংচার পয়েন্টে চাপ পড়ে এতে করে নার্ভ শান্ত থাকে। 
ঘাসের উপর হাঁটলে মাটির সংস্পর্শে আশায় পায়ে রক্ত সঞ্চালন ও হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালনয়ে উপকার হয়ে থাকে। ঘাস ও মাটির সংস্পর্শে শরীরের প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সকালে ঠান্ডা ঘাস ও বাতাসে মানসিক প্রশান্তি অনেক খালি পায়ে হাঁটলে মুড ভালো থাকে এবং মানসিক ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। ঘাস এবং শিশিরে সংস্পর্শে ত্বকের সতেজ করে এবং শুষ্কতা দূর করে ফুসফুস পরিষ্কার করে ও শরীরের অক্সিজেনে বাড়ে। 

সকালে হাঁটার সময় যে বিষয়ে এড়িয়ে চলবেন 

সকালে হাঁটার সময় কিছু বিষয়ে এড়িয়ে চলা উচিত যাতে করে স্বাস্থ্য ও নিরাপদ ভাবে চলাচল করা যায়। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বা খালি পেটে ভারী খাবারের পর হাঁটা চলাফেরা করা উচিত নয় এতে হজমের সমস্যা পেট ফোলা বমি ভাব হতে পারে। অতিরিক্ত রোধ বা গরমে হাঁটা থেকে বিরত থাকুন অতিরিক্ত রোদে হাঁটলে টক পুড়ে যায় ডিহাইড্রেশন মাথা ঘোরা হতে পারে সকাল পাঁচটা থেকে আটটা বা বিকেল চারটা থেকে ছয়টার মধ্যে হাঁটার অভ্যাস করুন স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
প্রতিদিন-সকালে-হাঁটার-স্বাস্থ্য-উপকারিতা
অতিরিক্ত জোরে হাত নেবা দৌড়ালে হৃদপিণ্ড চাপ পড়ে পেশীতে আঘাত হতে পারে এজন্য ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করুন পরে মাঝারি গতিতে হাঁটুন। যানবাহন চলাচল করে বা ধুলো বালি এলাকায় হাঁটা চলাফেরা থেকে বিরত থাকুন নিরাপদ রাস্তা বেছে নিন এতে করে আপনার হাঁটতে সুবিধা হবে। ঠান্ডা এলাকায় বা বরফে হাটা উচিত নয় এতে জয়েন বা ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। ঠান্ডার দিন হলে হালকা পোশাক পরিধান করা জরুরী। হাঁটার শুরুতে বা পরে পানি পান করলে ডিহাইজেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

মন্তব্যঃ প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রতিদিন সকালে হাঁটলে আমাদের শরীরের মনকে ভালো রাখে হৃদপিণ্ড শক্ত রাখে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বেশিও হার মজবুত করে পাশাপাশি মানসিক চাপ কমানোর ঘুম ভালো হয়। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। সকালবেলা হাটলে রক্ত সঞ্চালন বারে শরীরের অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় ত্বক উজ্জ্বল অফিস রাখে। 

আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করেছি প্রতিদিন সকালে হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজের সাথে থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 250510

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্গানিক সদাই২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url