ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম

ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়মগুলো এডসেন্স পাওয়ার জন্য জেনে রাখা জরুরী। ব্লগার একটি জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম, এখানে পোস্ট ইনডেক্স করানো কিছু নিয়ম রয়েছে।
ব্লগার-ওয়েবসাইটে-দ্রুত-পোস্ট-ইনডেক্স-করার-নিয়ম
আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে যদি আপনি দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করাতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। বিশেষ কিছু কোড ব্যবহার করে ব্লগার এর দুটো পোস্ট ইনডেক্স করা যায়। আজকের আর্টিকেলে ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম গুলো আলোচনা করা হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম সম্পর্কিত

ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম

ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম গুলো খুবই সহজ। সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই আপনার পোস্ট গুগলে দ্রুত ইনডেক্স করতে পারবেন। ব্লগার হলো একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করছে। তারা তাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ের প্রচারণা করে অর্থ উপার্জন করে।

ব্লগার গুগলের অফিসিয়াল একটা প্লাটফর্ম হওয়ায় এর অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ব্লগার এ ওয়েবসাইট তৈরি করে আর্টিকেল লিখলে আপনার আর্টিকেল গুগলের সামনে আসার সুযোগ বেশি থাকে। তাই আপনি যদি একজন আর্টিকেল রাইটার হতে চান তাহলে অবশ্যই ব্লগারে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করা উচিত। নিম্নে কিছু নিয়ম আলোচনা করা হলো যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি দ্রুত ব্লগার এ পোস্ট ইনডেক্স করতে পারবেন।

  • আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ কনসোল এর সাথে সংযোগ করুন। ব্লগার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ কনসোল এর সাথে ভেরিফাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউআরএল ইন্সপেকশন টুল ব্যবহার করে প্রতিটি নতুন পোস্টের ইউআরএল সাবমিট করুন।
  • সাইট ম্যাপ তৈরি করুন। ব্লগার পোস্ট ইনডেক্স করার জন্য সাইট ম্যাপ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইট ম্যাপ তৈরি জন্য আপনাকে ব্লগার ড্যাশবোর্ডে যেতে হবে। সেখান থেকে সেটিংস, এরপর crawlers and indexing অপশনে যেতে হবে। সেখানে enable custom robots.txt চালু করতে হবে।
  • কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে হবে। অর্থাৎ নতুন এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে। পোস্টে কিওয়ার্ড এবং মেটা ট্যাগ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। পোষ্টের টাইটেল এবং ইউআরএল seo এর নিয়ম মেনে করতে হবে।
  • পোস্টে ইন্টার্নাল এবং এক্সটার্নাল লিঙ্ক তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ নতুন পোস্টের সাথে পুরনো কোন পোষ্টের লিংক তৈরি করতে হবে এবং অন্যান্য ব্লগের লিংক আপনার ওয়েবসাইটে দিতে হবে। এগুলো মূলত এসইও এর নিয়মের মধ্যে পড়ে।
  • দ্রুত লোডিং এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট হতে হবে। ব্লগারের থিম মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যারা ব্লগ পরে তাদের মধ্যে ৯০% মানুষ মোবাইল এর মাধ্যমেই ব্লগ পড়ে। এর সাথে পোষ্টের মধ্যে ইমেজ ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।
  • নিয়মিত পোস্ট আপডেট করুন। অর্থাৎ গুগল সার্চ কনসোলে গিয়ে দেখুন যে সেটা ইনডেক্স হয়েছে কিনা। যদি না হয় তাহলে পুনরায় আবার রিকোয়েস্ট পাঠান। এক্ষেত্রে একটা ট্রিক অবলম্বন করতে পারেন। পোষ্টের ইউআরএল এর শেষে "/m=1?" এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটি সব সময় নয় যখন এক সপ্তা দু সপ্তাহ পার হয়ে যাচ্ছে তাও আপনার পোস্ট ইনডেক্স হচ্ছে না সে ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করবেন।
আশা করি এই নিয়মগুলো অবলম্বন করলে ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স হবে। আপনি এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে ব্লগার এ পোস্ট ইনডেক্স করার চেষ্টা করবেন। আশা করা যায় এতে করে অনেক দ্রুত আপনার পোস্ট ব্লগার এ ইনডেক্স হবে এবং google এর প্রথম পেজের প্রথম দিকে আসার সম্ভাবনা বাড়বে।

দুই দিনে ওয়েবসাইট ইনডেক্স করার উপায়

দুই দিনে ওয়েবসাইট ইনডেক্স করার উপায় খুবই সহজ এবং কার্যকর। সর্বপ্রথম আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ কনসুল এর সাথে এড করতে হবে। ইউআরএল ইন্সপেকশন টুল ব্যবহার করে হোমপেজ এবং গুরুত্বপূর্ণ পেজ গুলো ম্যানুয়ালি ইনডেক্স করতে হবে। তারপর ওয়েবসাইটের সাইট ম্যাপ তৈরি করতে হবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ইন্ডেক্সিং এর জন্য। এটা তৈরি করলে আপনার ওয়েবসাইট গুগল দ্রুত স্ক্যান করবে এবং দ্রুত ইনডেক্স করবে।

Custom robots.txt ফাইলে গুগলকে নির্দেশ দিতে হবে যে কোন পেজ ক্রল করতে হবে। এটি আপনার ওয়েবসাইটের রুট ডিরেক্টরিতে সংযুক্ত করতে হবে। ব্যাকলিংক ডিলিট করতে হবে। এগুলো মূলত এসইও এর কাজ। আপনার ওয়েবসাইটে যত ভালো এসইও করা থাকবে আপনার ওয়েবসাইট তত দ্রুত গুগলে ইনডেক্স হবে। হাই অথরিটি ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং করতে হবে ব্যাকলিংক বাড়ানোর জন্য।
ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড দ্রুত করতে হবে। উন্নত মানের থিম ব্যবহার করতে হবে এবং ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অপটিমাইজ করতে হবে। এর সাথে আপনাকে নিয়মিত ইউনিক ও এসিও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট যুক্ত করতে হবে। নিয়মিত পোস্ট আপডেট করলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে অধিক র‍্যাঙ্ক দিবে। সর্বশেষে এটা খেয়াল রাখবেন যে গুগল সার্চ কনসোলে ইউআরএল সাবমিট এবং ব্যাক লিঙ্ক সঠিকভাবে হলে সবচেয়ে দ্রুত ওয়েবসাইট ইনডেক্স হয়।

আপনার ব্লগে ভিজিটর না পাওয়ার কারণ

আপনার ব্লগে ভিজিটর না পাওয়ার কারণ অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি উন্নত মানের কনটেন্ট না থাকে তাহলে আপনি ভিজিটর পাবেন না। ডিজিটাল পাওয়ার সর্বপ্রথম মূল শর্ত হলো উন্নত মানের কন্টেন্ট ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা। এটা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ভিজিটর পাওয়ার। এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট যদি সঠিকভাবে এসিও না করা হয় তাহলেও আপনার ভিজিটর এর পরিমাণ কমে যেতে পারে।

এসিও হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনার পোস্ট গুগলের প্রথম পেজের প্রথমের দিকে আসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যার ওয়েবসাইটে যত ভালো এসইও করা হবে তার ওয়েবসাইটে তত ভিজিটর আসবে। তাই ডিজিটাল পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটের এসিও ভালো করে করুন। তাছাড়াও ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল পাওয়ার ক্ষেত্রে। আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড যদি বেশি হয় এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট না হয় তাহলে ভিজিটরের পরিমাণ কমতে পারে।

যারা ব্লগ পড়ে তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ মোবাইল এর মাধ্যমে ব্লক পড়ে। তাই ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে আপনার পোস্ট পড়তে অনেকের বিরক্ত লাগতে পারে। তাই উন্নত মানের থিম ব্যবহার করুন যাতে করে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি পায় এবং ভিজিটর দীর্ঘস্থায়ী পর্যন্ত থাকে। এছাড়াও আপনার পোস্ট যদি সঠিকভাবে গুগলে ইনডেক্স না হয় এবং এর সাইট ম্যাপ সঠিকভাবে তৈরি না করা হয় তাহলেও ভিজিটরের পরিমাণ কমতে পারে।

গুগল অ্যাডসেন্স কি

গুগল অ্যাডসেন্স কি এটা আপনারা অনেকেই জানেন না। গুগল অ্যাডসেন্স হলো টাকা ইনকাম করার একটা পথ। অর্থাৎ আপনার যদি একটা ব্লগ ওয়েবসাইট অথবা সার্ভিস বা কমার্শিয়াল ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেখানে আপনি অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। গুগল আপনার ওয়েবসাইটে এড দেখিয়ে আপনাকে টাকা দেবে। কারণ গুগল চাই তার পণ্য অথবা সেবা অন্যদের কাছে বিক্রি করতে।

আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভাল ধরনের ভিজিটর আসে তাহলে গুগল সেই ভিজিটরের উদ্দেশ্যে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্সের ব্যবস্থা করে দেবে। গুগল অ্যাডসেন্স এপ্লাই করার পর গুগল দেখবে যে আপনার ওয়েবসাইটে কি পরিমান ট্রাফিক আসছে। যদি অধিক পরিমাণ আসে তাহলে সে আপনাকে এডসেন্সের অনুমতি দেবে এবং আপনার ট্রাফিকের পরিমাণ অনুযায়ী আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। এটি খুবই সহজ টাকা ইনকাম করার পথ।

দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল

দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, এই কৌশল গুলো সঠিকভাবে অবলম্বন করলে আপনি খুব দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে সর্বপ্রথম শর্ত হল আপনাকে অবশ্যই উন্নত মানের কনটেন্ট লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনার কনটেন্টের প্রতিটা তথ্যই যেন সঠিক হয় সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও কনটেন্ট যাতে কোথাও থেকে কপি করা না হয় এবং কোন প্রকার AI দিয়ে না লেখা হয় এটাও খেয়াল রাখতে হবে।

পোস্ট এর নেভিগেশন এবং ডিজাইন ঠিক রাখতে হবে। অর্থাৎ এসইও এর কাজ সঠিকভাবে করতে হবে। আম পেজ এসইও অফ পেজ এসিও উভয়ই ভালোভাবে করা লাগবে। পোষ্টের কিওয়ার্ডগুলো সঠিকভাবে রিসার্চ করা লাগবে এবং এসিও ফ্রেন্ডরি পোস্ট লেখা লাগবে। আপনার ওয়েবসাইটে এবাউট পেজ, কন্টাক্ট পেজ, প্রাইভেসি এন্ড পলিসি পেজ ইত্যাদি যুক্ত করতে হবে। অনেক ব্লগার রয়েছে যারা এটা জানেই না যে এগুলো কত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাড্রেস পাওয়ার ক্ষেত্রে।
এছাড়াও আপনার পোস্টের হেডিংগুলো ঠিকভাবে দিতে হবে। আপনার ডোমের নেম সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। ডোমের নাম খুব একটা বড় দেওয়া যাবে না এবং কঠিন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। ডোমেন নেম এমন হতে হবে যাতে কেউ আপনার ব্লগে এসে পোস্ট পড়ার পরে পরবর্তীতে আপনার পোস্ট পড়ার জন্য ডোমের নামটা মনে রাখতে পারে। তাই সহজ ভাষার ডোমের নেম ব্যবহার করবেন। নতুন ব্লগ ওয়েবসাইট হলে ভিজিটর পাওয়ার জন্য তিন থেকে ছয় মাস অপেক্ষা করবেন।

গুগল অ্যাডসেন্স এর নীতিমালা সঠিকভাবে পড়ে নিবেন। অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য google যে নীতিমালা গুলো দিয়েছে সেগুলো ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোন প্রকার এডাল্ট কনটেন্ট, কপিরাইট কনটেন্ট ইত্যাদি গুগল অ্যাডসেন্স এর নীতিমালা ভঙ্গ করে। তাই এই নীতিমালা গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করবেন। আপনার ওয়েবসাইট যদি ব্লগারে হয়ে থাকে তাহলে ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম গুলো ভালো হবে জেনে নিয়ে পোস্ট ইনডেক্স করবেন।

কিভাবে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট জমা দিবেন

কিভাবে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট জমা দিবেন এটা জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট অথবা সার্ভিস ওয়েবসাইট বা কমার্শিয়াল ওয়েবসাইট থাকে তবে তা গুগল সার্চ কনসোলে এড করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিতে এড না করলে আপনার ওয়েবসাইট গুগলে কেউ সার্চ করে খুঁজে পাবে না। তাই অর্গানিকভাবে আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়ার জন্য গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট এড করা খুবই জরুরী।
কিভাবে-গুগল-সার্চ-ইঞ্জিনে-ওয়েবসাইট-জমা-দিবেন
প্রথমত আপনাকে গুগল সার্চ কনসোল একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এজন্য আপনাকে গুগল সার্চ কনসোলে যেতে হবে এবং সেখানে স্টার্ট নাও বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর সেখানে আপনার google একাউন্ট অথবা জিমেইল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। এরপর সেখানে আপনার ওয়েবসাইট যোগ করতে হবে। সেখানে অ্যাড প্রপার্টি নামক একটা বাটন দেখা যাবে। সেটাতে ক্লিক করে প্রথমে আপনার ডোমের নাম লিখতে হবে। এরপর আপনার ওয়েবসাইটটি ভেরিফাই করতে হবে।
ওয়েবসাইট ভেরিফাইড করার অর্থ গুগল আপনাকে যাচাই করছে আপনি ওয়েবসাইটের প্রকৃত মালিক কিনা। এইচটিএমএল ট্যাগ বা ডিএনএস ভেরিফিকেশন ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের ভেরিফিকেশন করতে হবে। এরপর সঠিকভাবে সাইট ম্যাপ তৈরি করতে হবে। সাইট ম্যাপ তৈরি করা অপরিহার্য একটি কাজ। তারপর ইউআরএল ইন্সপেক্টর এগিয়ে নির্দিষ্ট পেজ এর ইনডেক্স রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। এর সাথে আপনার ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডে গিয়ে robots.txt ফাইল যোগ করতে হবে।

গুগল সার্চ কনসোল কি

গুগল সার্চ কনসোল কি, সহজ ভাষায় বললে আপনার ওয়েবসাইটকে অন্যের কাছে প্রদর্শনের মাধ্যম। অর্থাৎ এখানে আপনার ওয়েবসাইট এ্যাড না করলে অন্যরা আপনার ওয়েবসাইট দেখতে পাবে না। এটি একটি বিনামূল্য সরঞ্জাম যা ওয়েবসাইট মালিকদের তাদের ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে দেখানোর জন্য সাহায্য করে। এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুল। কারণ এটি ছাড়া আপনি আপনার ওয়েবসাইট গুগলে দেখাতে পারবেন না।

এছাড়াও এর আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কত ভিজিটর আসছে। আপনার ওয়েবসাইটের কোন কিওয়ার্ড কত নম্বর পেজে অবস্থান করছে। আপনার ওয়েবসাইটে কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে কিনা এটা আপনাকে বলে দিবে। আপনার পেজগুলো গুগলে সঠিকভাবে ইনডেক্স হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা সেটাও বুঝতে পারবেন। এক কথায় বিভিন্ন ধরনের সুবিধা এই টুলটি আমাদেরকে প্রদান করে।

গুগল সার্চ কনসোলে ব্লগার সাইট যুক্ত করার নিয়ম

গুগল সার্চ কনসোলে ব্লগার সাইট যুক্ত করার নিয়ম গুলো খুবই সহজ এবং কার্যকর। আপনি ধাপে ধাপে আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ কনসোলে এড করতে পারেন। নিম্নে কিছু ধাপ বলে দেয়া হলো যেগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ কনসোলে যুক্ত করতে পারবেন।

  • গুগল সার্চ কনসোলে লগইনঃ সর্বপ্রথম আপনাকে google সার্চ কনসোলে লগইন করতে হবে। সেখানে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট অথবা জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে।
  • নিউ প্রপার্টি যোগ করতে হবেঃ গুগল সার্চ কনসোলে অ্যাড প্রোপার্টি নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনার ব্লগার সাইটটি দিতে হবে এবং কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • ব্লগার সাইট ভেরিফিকেশন করতে হবেঃ এইচটিএমএল ট্যাগ অপশন সিলেক্ট করে সেখানে মেটা ট্যাগের মধ্যে নির্দিষ্ট কোড বসিয়ে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করতে হবে। সাইট ম্যাপ তৈরিঃ ব্লগারের ড্যাশবোর্ডে গিয়ে আপনার সাইট ম্যাপ তৈরি করে নিতে হবে।
  • ব্লগারে robots.txt কোডঃ ব্লগারের ড্যাশবোর্ডে গিয়ে আপনাকে সেখানে নির্দিষ্ট কোড বসাতে হবে এবং ব্লগারের পারমিশন এনাবেল করতে হবে।
  • ইউআরএল ইনডেক্স অনুমতিঃ প্রতিটি নতুন পোস্ট পাবলিশ করার পরে সার্চ কনসোলে গিয়ে আপনাকে বারবার ইউআরএল আপডেট করতে হবে। প্রতিদিন সার্চ কনসোলে অ্যাড করার রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে।
এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই আপনি আপনার ব্লগার সাইট গুগল সার্চ কনসোলে এ্যাড করতে পারবেন। এর সাথে ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করবেন। এতে করে আপনার পোস্ট সহজে গুগলের প্রথম পেজে আসার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

অন পেজ এসইও কি

অন পেজ এসইও কি এটা প্রতিটা ওয়েবসাইটের মালিকের জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অন পেজ এসিও ছাড়া আপনার পোস্ট কখনই গুগলের প্রথম পেজে অবস্থান করবে না। অন পেজ এসইও মূলত আপনার ওয়েবসাইটের দৃশ্যমান সমস্যাগুলো দূর করা। অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলের হেডিং ঠিক করা, আর্টিকেল সুন্দরভাবে গচ্ছিত করা, আর্টিকেলের মধ্যে লিঙ্ক অ্যাড করা ইত্যাদি বিভিন্ন কিছু অন পেজ এসইও এর অন্তর্ভুক্ত।
অন-পেজ-এসইও-কি
আপনার পোস্ট গুগলে র‍্যাংক করানোর জন্য অন পেজ এসইও করা অত্যন্ত জরুরী। এতে করে আপনার ওয়েবসাইট এর সকল দৃশ্যমান সমস্যাগুলো দূর হবে। তাই একজন ভালো এক্সপার্ট প্রতিমাসে একবার তার ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটে অন পেজ এসইও করে। প্রতিটি পোস্ট সে নিজে নিজে পড়ে ভুলগুলো বের করে এবং তা সংশোধন করে ওয়েবসাইটের মালিক কে জানাই। অন পেজ এর সকল সমস্যা দূর হয় এবং google এ পোস্ট র‍্যাংক করতে সাহায্য করে।

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা উন্নত মানের ব্লগার খোঁজে। তাই আপনার সৃজনশীলতা যদি ভালো হয় তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি আর্টিকেল রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এতে করে প্রতি মাসে আপনি ভালো ধরনের ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমান মোবাইল গুলো অনেক উন্নত তাই মোবাইলের মাধ্যমে ব্লগিং করা খুবই সহজ।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার পরে ব্লগার ওয়েবসাইটে দ্রুত পোস্ট ইনডেক্স করার নিয়ম গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে সহজেই আপনার ওয়েবসাইট গুগলে ইনডেক্স করতে পারবেন এবং google প্রথম পেজে র‍্যাংক করতে পারবেন।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এই ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। তাই আমাদের পাশে থেকে আমাদেরকে সাপোর্ট করুন। ধন্যবাদ 37164

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্গানিক সদাই২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url